//
I'm
চোখের জলে ১৯ বছরের মেয়েকে হাইকোর্ট থেকে বিদায় জানালেন সেই বাবা
Date : April 17, 2022, 5:49 p.m.
Blogger Name: তাহের
চোখের জলে ১৯ বছরের মেয়েকে হাইকোর্ট থেকে বিদায় জানালেন সেই বাবা। কে এই বাবা? বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী। এখানকার আলো বাতাসে বেড়ে ওঠে চলে যান স্বপ্নের দেশ কানাডায়। এক সময় স্ত্রী-কেও নিয়ে যান। ওখানকার সিটিজেনশীপও গ্রহণ করেন। ওখানে তাদের একটি মেয়েরও জন্ম হয়।
একটা সময় মনে করলেন, নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকলেও বাংলাদেশই ভালো। তাদের ১৮ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে গত বছর ফিরে এলেন দেশে। ঢাকার মুগদায় বসবাস করা শুরু করলেন। ইচ্ছে ছিল, ওখানে আর মেয়েকে নিয়ে ফিরবেন না। মেয়েকে নিয়ে বাকি আলো-বাতাস বাংলাদেশেই গ্রহণ করবেন। কিন্তু বাঁধ সাধলো মেয়েটি। মুগদার বাসায় ১০ মাস থাকার পর কানাডিয়ান হাই কমিশনে অভিযোগ করে বসে, তাকে নাকি তার মা-বাবা মুগদার ওই বাসায় আটকে রেখেছেন। মানবাধিকার সংস্থার কাছেও মেইলে আবেদন পাঠায় তাকে উদ্ধারের জন্য।
কানাডিয়ান হাই কমিশন মুগদা থানায় জিডি করে। আর মানবাধিকার সংস্থাগুলো হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। মেয়ে আদালতকে জানায়, সে বাংলাদেশে থাকবে না। কানাডায় ফিরে যাবে। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে আটকে রেখেছেন মা-বাবা। মেয়ের ইচ্ছা অনুযায়ী এবং কানাডিয়ান হাই কমিশনের সম্মতি সাপেক্ষে হাইকোর্ট কানাডার দূতাবাসে আজ মেয়েটিকে পাঠিয়ে দিলো। মা-বাবা বিহীন সে কানাডায় থাকবে বাকি জীবন, কানাডার সরকার তার যাবতীয় খরচ বহন করবে।
এই যে, মেয়েটা বাবা-মায়ের কথা শুনলো না, বাংলাদেশে থাকলো না, বাবা-মাকে ছেড়ে চিরতরে চলে যাচ্ছে-- এর জন্য দায়ী কে? দোষ কার? মেয়েটির? নাকি বাবা-মায়ের? স্বপ্নের দেশে বাস করতে যেয়ে, স্বপ্নের দেশের নাগরিকত্ব নিতে যেয়ে অনেক বড় স্বপ্ন যে কারো কারো অবশেষে চুরমার হয়ে যায়। স্বপ্ন দেখা ভাল, স্বপ্নে দেশে যাওয়া ভাল, কিন্তু এমন স্বপ্ন নয় যে স্বপ্ন থেকে ফেরত আসতে যেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
July 21, 2021 | 100 Comments