//

I'm

Md Abu Taher

Social Worker, Chairman Candidate, Consultant, Businessman, Political Person, Public Figure

Abu Taher
Dummy Image

গুরু তার শিষ্যকে বলছে, “শিষ্য, তুই কি বিড়ালকে মরিচের গুড়া খাওয়াতে পারবি?"

Date : April 22, 2022, 6:56 p.m.

Blogger Name: Md Abu Taher

এ তো খুবই সহজ কাজ, গুরু।" - শিষ্যের উৎফুল্ল জবাব।

“ঠিক আছে, সহজ কাজটা করে দেখাতো?" -গুরুর গুরুগম্ভীর নির্দেশ।

শিষ্য তৎক্ষণাৎ একটা বিড়াল ধরে আনলো মরিচের গুড়া খাওয়াতে।

প্রথমে দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করল। বিড়াল এক চুমুক খেয়েই যখন বুঝতে পারল যে এটাতে মরিচের গুড়া মিশানো, তারপর আর একবারও মুখ লাগালো না।

এবার শিষ্য জোর করে বিড়ালের মুখ হা করিয়ে মরিচের গুড়া দিল। বিড়াল বমি করে সব বের করে দিল।

শত চেষ্টা করেও বিড়ালকে মরিচের গুড়া খাওয়াতে চরমভাবে ব্যর্থ হলো শিষ্য।

শেষপর্যন্ত লজ্জিত বদনে গুরু সামনে গিয়ে দাড়াল শিষ্য।

গুরু তার শিষ্যকে বললো, “এবার দেখ আমি কিভাবে খাওয়াই।"

গুরু বিড়ালটাকে ধরে এনে বিড়ালের পাছায় মরিচের গুড়া ঘষে দিল। ব্যস! কেল্লা ফতেহ।

জোর জবরদস্তি কিছুই করা লাগলো না।

বিড়াল নিজেই পাছায় লাগানো মরিচের গুড়া চেটে খেতে আরম্ভ করলো।

তারপর শিষ্যের পিঠ চাপড়ে গুরু বললো- “কলের (কৌশলের) কাজ বলে (শক্তিতে) হয় না বেটা।"

পাকিস্তানিরা আমাদের উপর জোর করে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। ফলাফল সবার জানা।

কিন্তু দাদারা জোর করে হিন্দী ভাষা আমাদের চাপিয়ে দেয়নি।

তারা জায়গা মত বসিয়ে দিয়েছে। ব্যস, কেল্লা ফতেহ। আমরা নিজেরাই চেটে খাচ্ছি।

কারণ????

কারণ, কলের কাজ বলে হয় না।

আজ হিন্দী জানাটা স্মার্টনেসের মাপকাঠি হয়ে দাড়িয়েছে। শহরের প্রায় ৯০ ভাগ শিশু হিন্দীতে অনর্গল কথা পারে। গ্রামের পরিস্থিতিও দ্রুত ওদিকেই ধাবমান হচ্ছে।

শুধু ভাষাগত আক্রমণই না, পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন নষ্টের পাশাপাশি আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি গুলোকে ভোতা করে দিচ্ছে ভারতীয় সিরিয়াল গুলো।

আমার মতে এগুলো শুধু নাটক সিরিয়াল ই না, এগুলো হচ্ছে # সিরিয়াল_কিলার।

কারণ কোন জাতিতে শক্তি প্রয়োগে ধ্বংস করা না গেলে তার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে হয়, ভুলিয়ে দিতে সেই জাতিসত্তার ইতিহাস।

যার উদাহরণ আমরা ভারতবর্ষ থেকেই পাই।

ভারতবর্ষের পাল রাজাদের উৎখাত করে সেন রাজাদের রাজ্য দখল করা মূলত পাল রাজাদের উপর চালানো সাংস্কৃতিক আগ্রাসনেরই ফলাফল।

সুতরাং সকল ধরণের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মোকাবিলায় আমাদের ইতিহাস জানা জরুরি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, মহান ভাষা দিব ভাষার জন্য যারা আন্দোলন করেছিল তাদের আমি শ্রদ্ধা জানাই।

কিন্তু শ্রদ্ধা জানাতে এ কেমন পদ্ধতি বেছে নিয়েছে এদেশের মুসলিমরা?

পাথরের গোড়ায় ফুল দিয়ে পূজা করা ছাড়া শ্রদ্ধা জানানোর আর কোন উপায় ই কি নেই?

ঈমান বিধ্বংসী এ কেমন আত্মঘাতী খেলায় মেতে উঠেছে এদেশের মুসলিম জাতি?

আমরা সবাই জানি, ফুল দিয়ে পূজা অর্চনা করা হিন্দু মুশরিকদের কাজ।

অথচ আমরা এ কাজটাই করছি কোন ধরণের ভাবনা চিন্তা ছাড়াই।

এ যেনো কুরআনের নিচের আয়াতটাকেই কেবল সত্যায়ন করছে ...

وَمَا يُؤْمِنُ أَكْثَرُهُمْ بِاللّهِ إِلاَّ وَهُم مُّشْرِكُونَ

অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনা সত্যেও মুশরিক।

সূরা- ইউসুফ, ১০৬

July 21, 2021     |     100 Comments

Please login for comment
Login

7 Comments

Lorem ipsum dolor sit amet, ut qui commodo sensibus, id utinam inermis constituto vim. In nam dolorum interesset, per fierent ponderum ea. Eos aperiri feugiat democritum ne.
200