//
I'm
মেটা ট্যাগ
Date : April 4, 2022, 5:12 p.m.
Blogger Name: 1
গত পর্বের রিভিউ
যার আমার ১ম পর্বের প্রথম অংশটা মিস করেছেন তাদের জন্য এই রিভিউ করা।যেখান থেকে আপনারা আমার গত পর্বের টিউন সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা নিতে পারবেন।দেখা যাক গত পর্বে কি কি ছিল।
১।কী-ওয়ার্ড কি
২।কী-ওয়ার্ড কি জন্য ব্যবহার করবেন।
৩।কী-ওয়ার্ডের প্রয়োজনীয়তা কি
৪।কী-ওয়ার্ড বাছায়ের প্রয়োজনীয়তা ও বাছাই করণ প্রক্রিয়া।
কিভাবে ব্যবহার করবেন কী-ওয়ার্ড
কী-ওয়ার্ড সম্পর্কে আমরা মোটামুটি একটা ধারণা পেয়েছি।এখন দেখা যাক কিভাবে এই কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।কী-ওয়ার্ড আপনি ২ ভাবে ব্যবহার করতে পারেন।যেমন
১।মেটা ট্যাগের মাধ্যমে
২।সাইটের কনটেন্ট বা আর্টিকেল এর মাধ্যমে।
আসুন নিচে থেকে আরো বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
১।মেটা ট্যাগের মাধ্যমে
ওয়েব সাইট ডিজাইনের সময় আমরা অনেক ধরনের মেটা ট্যাগ নিয়ে কাজ করি।এর মধ্যে
< meta name=”keywords” content=”some keyword,another keyword” />
এই ট্যাগটি "মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ" নামে পরিচিত।এই মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ দ্বারা আপনি আপনার সাইটের কী-ওয়ার্ড ব্যবহারের কাজ করতে পারবেন।এ জন্য আপনি আপনার সাইটের HTML এডিটর পেজে গিয়ে <head> ও </head> ট্যাগ এর মধ্যে আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ডটি বসিয়ে দিন।
ব্যাস হয়ে গেল আপনার সাইটে মেটা ট্যাগ ব্যবহার করা।আরো অনেক মেটা ট্যাগ আমরা সাইটে ব্যবহার করে থাকি।তবে মেটা ট্যাগ ও কী-ওয়ার্ড এর ব্যবহারের বেশ কিছু নিয়ম বা টিপস মেনে চলা
১।আপনর সাইটের যে কী-ওয়ার্ডটির উপর ভিত্তি করে বানাবেন সেই কী-ওয়ার্ডটি যেন আপনার মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগে ৩ বারের বেশি না থাকে।
২।আপনার সাইটে মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ ব্যবহার করুন সর্বোচ্চ ১ বার।
৩।মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগে একটি কী-ওয়ার্ড বার বার না লিখে অন্য ভাবে তা লেখার চেষ্টা করুন,যেমন প্রথমে যদি লেখেন Download hindi movie hindi movie তা হলে সেটাকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে download hindi movie বা আরএকটু পরিবর্তন করে download hindi movie online করে নিতে পারেন।
৪।কী-ওয়ার্ড এর বানান যেন কোনমতেই ভুল না যায় সেদিকে কড়া নজরদারি রাখতে হবে।যেমন বুশ লাদেন কে নজরদাড়িতে রেখেছিল :)
৫।প্রতিটি কী-ওয়ার্ডের পর একটি করে কমা(,) ব্যবহার করুন.
তারপর আপনি আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ড গুলো অন্যান ট্যাগে ব্যবহার করুন।যেসকল ট্যাগে আপনি আপনার কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন সেগুলো হলো:
১।description- Meta Tag
২।Titel - Meta Tag
৩।author- Meta Tag
২।সাইটের কনটেন্ট বা আর্টিকেলের মাধ্যমে
আমরা অনেক মনে করি যে সার্চ ইন্জিন গুলো কেবল মেটা ট্যাগ নিয়ে সাইট ইনডেক্স করে।অনেক আবার এ ও মনে করেন যে মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ ব্যবহার না করলে হয়তো সাইট ইনডেক্স হবে না,ভালো ফল পাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি।তাই তাদের জন্য বলছি মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগটি সার্চ ইন্জিনের জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।কিন্তু তা মানে এই নয় যে সাইট ইনডেক্স হবে না কিংবা সাইট ইনডেক্স হলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে না।মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগটি সার্চ ইন্জিনের ক্রাউলিং করার কাজকে অনেক সহজ করে দেয়।যেমন আপনি যদি একটি বই পড়ার সময় বইয়ের সূচিপত্র দেখে কোন তথ্য খোজ করেন তা সহজেই আপনি খুজে পাবেন।আর মেটা কী-ওয়ার্ডটি আপনার সাইটের সূচিপত্রের মত কাজ করে।যেটা থাকলে সার্চ ইন্জিন গুলোর কাজ করতে সুবিধা হয়।তো আসল কথায় আসি,
আপনি যখন আপনার সাইটের কোন কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনি যে সকল শব্দ ব্যবহার করবেন তাই হল কী-ওয়ার্ড।তাই আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে আপনার কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখুন।এটাই আপনার প্রথম কাজ।তাছাড়া অন্যান টিপস গুলো হলো....
১।প্রথমে আপনি আপানর বাছাই করা কী-ওয়ার্ড গুলোর একটা খসড়া তালিকা তৈরী করুন।এই খসড়া তালিকায় কী-ওয়ার্ড গুলো আপনার পছন্দ আনুসারে সাজান।
২।আপনার বিষয় বস্তুর সাথে কোন কী-ওয়ার্ডটি বেশি মানায় সেটা নির্বাচন করুন।
৩।আপনি আপনার কনটেন্ট বা আর্টিকেল লেখার সময় কী-ওয়ার্ড ব্যবহারের উপর জোর দিন।
৪।আপনি আপনার বাছাই করা কী-ওয়ার্ডটি আপনার লেখা কনটেন্ট বা আর্টিকেলের প্রথম ২০০টি শব্দের মধ্যে রাখুন।এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এতে করে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনে অনেক ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।
৫।শুধু মাত্র ১ টি কী-ওয়ার্ড নিয়ে পড়ে থাকবেন না।একই ধরণের কী-ওয়ার্ড গুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
গুগল সহ অন্যান সার্চ ইন্জিন কিন্তু কনটেন্ট বা আর্টিকেলে দেয়া কী-ওয়ার্ড গুলোর দিকে বেশি নজর দেয়,যা মেটা ট্যাগের চেয়ে অনেক গুন বেশি
কিভাবে? আসুন দেখে নিই
মনে করুন আপনি গুগল সার্চ ইন্জিনে গিয়ে সার্চ করলেন "download indian movie" লিখে।এর পর যে সাইট গুলো আসবে তার পাশে লেখা "Cached" এ ক্লিক করুন।
তারপর গুগলের Cached করা সাইটের পাতাটি আপনার সামনে হাজির হবে।
সেখানে তারা মার্কিং করে দেখাবে যে সাইটে আপনার দেয়া কী-ওয়ার্ড গুলো কেমন ভাবে তারা ব্যবহার করেছে।
তো বুঝলেন সাইটের কনটেন্ট বা আর্টিকেলে আপনি যদি আপনার সার্চ কী-ওয়ার্ড ব্যবহার না করেন তাহলে কেমন ফল আপনি পেতে পারেন।
আজ এই পর্যন্তই।আশা করি আপনারা কী-ওয়ার্ড সম্পর্কে এই দুই টিউনে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। আপনাদের কাজে আসলেই আমার চেষ্টা সার্থক হবে। আর যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমাকে মোবাইল বা মেইল করতে পারেন। আমি চেষ্টা করবো সে সকল সমস্যার সমাধান করে
অন পেজ অপটিমাইজেশন কি?
সাধারন ভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কে আমরা ২ ভাগে ভাগ করতে পারি।
১।অন পেজ অপটিমাইজেশন (On-Page Optimization)
২।অফ পেজ আপটইমাইজেশন (Off-Page Optimization)
অন-পেজ অপটিমাইজেশন কথাটি দেখলেই বোঝা যায় যে ওয়েব পেজের মধ্যে যে সকল অপটিমাইজেশন করা হয় তাকেই অন-পেজ অপটিমাইজেশন বলা হয়।
আমরা একটু গভীর ভাবে বিষয়টিকে চিন্তা করার চেষ্টা করি।
প্রথমে অমাদের ভাবতে হবে আমরা ওয়েব পেজে কি কি কাজ করে থাকি। সাধারন ভাবে আপনার উত্তর হতে পারে লেখা লেখি করি, ছবি বসাই, গান আপলোড করি ফ্লাশ মিডিয়া বসাই ইত্যাদি। প্রায় ৭০% নতুন ওয়েব ডিজাইনাররা এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকে।কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে এসব বিষয় গুলো প্রধানত প্রধান্য পায় না।এসকল বিষয়কে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযোগী করাই হল অন-পেজ অপটিমাইজেশন।ওয়েব পেজে বিভিন্ন ধরনের ট্যাগ ব্যবহার করা,কনটেন্ট লেখায় কলাকৌশল,লিংকের ব্যবহার,ইত্যাদি করে অন-পেজ অপটিমাইজেশন করা হয়।
অন-পেজ অপটিমাইজেশন এর বিষয়বস্তু
বেশ কিছু মৌলিক বিষয় নিয়ে অন পেজ অপটিমাইজেশন করা হয়।যেসব বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে আপনার অন-পেজ অপটিমাইজেশন করতে সুবিধা হয়।আসুন দেখে নিই অন-পেজ অপটিমাইজেশনে কি বিষয় অন্তভুক্ত থাকে
১।মেটা ট্যাগের ব্যবহার
২।টাইটেলে ট্যাগের ব্যবহার
৩।কী-ওয়ার্ড ট্যাগের ব্যবহার
৪।Description ট্যাগের ব্যবহার
৫।ALT ট্যাগের ব্যবহার
৬।h1-h6 ট্যাগের ব্যবহার
৭।পেজ - ফাইলের নামকরন
৮।কী ওয়ার্ড সমৃদ্ধ কনটেন্ট বনানো
৯।XML Sitemaps তৈরী করণ ইত্যাদি।
এসকল বিষয় গুলোকে যদি আপনি আয়ত্তে আনতে পারেন তাহলে ফলাফল আপনার হাতের মুঠোয়।আসুন এবার এসব বিষয় নিয়ে একটু ফুটবল খেলি।
July 21, 2021 | 100 Comments